[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

নড়াইলের বড়দিয়া গৌড়ীও মঠে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র শিশু সেবকের রহস্যজনক মৃত্যু!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ হাচিবুর রহমান,নড়াইল প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার বড়দিয়া গৌড়ীও মঠে রনি ত্রিপুরা (১২) নামে এক শিশু সেবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যু নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এছাড়া সে বড়দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ২৫ মার্চ (শুক্রবার) দিবাগত মধ্যরাতে যে কোন সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছে স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা। রনি ত্রিপুরা পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়ি জেলার নুনছড়ি থলি পাড়া গ্রামের রঞ্জিৎ ত্রিপুরার ছেলে।
মঠে থাকা তার সহপাঠিরা জানায়, নিত্য দিনের মত রনি ত্রিপুরা রাতের খাবার খেয়ে তার ৬ জন সহপাঠিদের সাথে সদ্য নির্মিত গৌড়ীও মঠের দোতলায় ঘুমিয়ে ছিল। ভোর সাড়ে ৪/৫ টার দিকে উঠে দেখে রনি ত্রিপুরা বিছানায় নেই। অতঃপর তারা বিষয়টি সার মহারাজকে অবগত করলে খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মঠ সংলগ্ন সেমীপাঁকা ঘরের তালাবদ্ধ ৯ টি কক্ষের ৯ নম্বর কক্ষে আড়ার সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সে আত্মহত্যা করেছে। নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বিষয়টি সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করেছেন।
গৌড়ীও মঠের সার মহারাজ বলেন, রাত ১০ টার দিকে আমরা খাওয়া দাওয়া সেরে শুয়ে পড়লে রাতে যে কোন সময় সে নীচেয় এসে সুইসাইড করেছে। সে খুব ভালো, সর্বদা মঠের সেবা কাজে নিয়েজিত থাকতো।এমন ঘটনা ঘটাবে এটা কল্পনাও করতে পারি নাই বলে তিনি জানান। মৃতের মা-বাবাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গৌড়ীয় মঠের সাধারণ সম্পাদক নন্দদুলাল পাল বলেন, সকালে সার মহারাজ আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানালে এসে শুনি ওরা কয়েকজন রাতে দোতলায় একই জায়গায় শুয়ে ছিল। রাতে কখন ওই ছেলেটি নীচে এসে সুইসাইড করেছে কেউ জানতে পারেনি। এর বেশী আমি কিছু জানিনা বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *